বিয়ের জন্য পাত্রী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্য জীবনের পরিধি যেমন ব্যাপক, এর সমস্যাও অতি বিস্তৃত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি স্পষ্ট বাহ্যিক-সামাজিক দৃষ্টিতে কোনো ব্যবধান ও অসামঞ্জস্য থাকে, অনেক ক্ষেত্রেই তা আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভবপর হয় না।
যে কারণ, বিয়ের আগেই পাত্রী নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
হাদীস শরীফে আছে :
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আমি একজন আনসারি মেয়েকে বিয়ে করতে চাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন : মেয়েটিকে দেখে নাও। আনসারিদের চোখে আবার সমস্যা থাকে।’ (মিশকাত, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬০)
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (সা) পাত্রী নির্বাচনের আগে তাকে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যেন পরবর্তীতে সমস্যা না হয়। অধিকন্তু পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে লক্ষ্য করা বাঞ্ছনীয় সে কথাও অন্য হাদীসে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে :
আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : সাধারণত চারটি বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো মেয়েকে বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী। তবে তােমরা ধর্মপরায়ণতাকেই অগ্রাধিকার দেবে। (মিশকাত, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬০)
এই হাদীসে নারীর সম্পদ, বংশ গৌরব, রূপ সৌন্দর্য ও ধর্মানুরাগকে এমন বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে, যার আলােকে তাকে নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে ধর্মানুরাগই সর্বাধিক বিবেচ্য বিষয়।
সূত্র : দৈনন্দি জীবনে ইসলাম, পৃষ্ঠা :৩৯৭, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।