স্বাস্থ্যকর, জীবাণুমুক্ত দাঁতের জন্য ৬টি খাবার

স্বাস্থ্যকর, জীবাণুমুক্ত দাঁতের জন্য ৬টি খাবার
সবুজ শাকসবজি

খাবারের ওপর নির্ভর করছে আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো নাকি খারাপ হবে। চিনিযুক্ত খাবার, যেমন ক্যান্ডি এবং ফিজি পানীয় (কোমল পানীয়) দাঁতের ক্ষয় করে। মুখের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয। পুষ্টি আপনার দাঁত ও মাড়ির ওপর দ্রুত প্রভাব ফেলে। অপুষ্টির ফলে দাঁতের ক্ষয়, গহ্বর ও মাড়ির রোগ হতে পারে।

মুখের রোগের কারণে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং সময়ের আ্গেই/কম ওজনের সন্তান জন্মের যোগসূত্রের কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। আপনার মুখের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিচের স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাটি ব্যবহার করতে পারেন।

১. পনির (চিজ) : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, পনির খেলে মুখের পিএইচ বাড়ে এবং দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, পনির চিবানোর জন্য যে চিবানো দরকার তা মুখের লালা বাড়ায়। পনিরে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে, যা দাঁতকে শক্তি জোগায়।

২. সবুজ শাকসবজি: সাধারণত যে কোনো স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনায় পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি থাকা উচিত। এগুলো ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালোরি কম থাকে। সবুজ শাক- যেমন পালং শাক মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এগুলোতে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে, যা আপনার দাঁতে এনামেল তৈরি করে।

৩. আপেল : যদিও চিকিৎসকরা বেশিরভাগ মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। আপেলের মতো ফল মিষ্টি হতে পারে, তবে এতে পানি ও ফাইবারও বেশি থাকে। একটি আপেল খেলে আপনার মুখের লালা উৎপন্ন করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও মুখে লেগে থাকা খাদ্যকণা দূর করে।এই ফলের আঁশযুক্ত গঠনও মাড়ির স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। একটি আপেল খেলে তা ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার সমান নয়। তবে আপনি ব্রাশ করার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত এটি আপনার মুখকে অনেকটা সজিব করতে পারে।

৪. দই : পনিরের মতোই দই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা আপনার দাঁতের শক্তি ও স্বাস্থ্যের জন্য একটি আদর্শ খাবার। দইয়ে পাওয়া প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো আপনার মাড়িকে উপকৃত করে। আপনি যদি আপনার খাদ্যতালিকায় দই যোগ করতে চান, তাহলে চিনি ছাড়াই দই যুক্ত করুন।

৫. গাজর : আপেলের মতো গাজরও কামড়িয়ে খেতে হয়। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। প্রতিবার খাবারের পর বেশ কয়েকটি কাঁচা গাজর খেলে আপনার মুখের লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা আপনার গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গাজর ভিটামিন এ-এর একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।

৬. বাদাম : বাদাম আপনার দাঁতের জন্য উপকারী। কারণ, এটি ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের একটি উপযুক্ত উৎস।

লেখক : ডা. সুরভী ভাটিয়া, লাইফবেরি হেলথকেয়ারের প্রধান দন্তচিকিৎসক ও সিইও

সূত্র : এনডিটিভি

Leave a Reply