বিসিএস চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
আগামীতে পিএসসির অধীনে সব প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্য’ রাখা হবে। অর্থাৎ এক বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন করা হবে না। প্রশ্নে সব বিষয় থেকেই সমান সংখ্যক প্রশ্ন করা হবে।
কারণ, বিগত কয়েকটি বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। ফলে বিজ্ঞান থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় বেশি সুবিধা পেয়েছেন বলে আলোচনা আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবে বিপিএসসি।
বিপিএসসির সূত্রের বরাতে আজ শনিবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএসের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরাই ভালো ক্যাডার হওয়ায় এগিয়ে রয়েছেন। ১৫টি ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তারা। শুধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকেই প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৫০ জন।
অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি টিকেছেন। কারণ, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়েুছে। এতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি ভালো ফল করেছেন। অঅর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রার্থীরা পরীক্ষায় তেমন ভালো করতে পারেননি।
এই একচেটিয়াভাবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা যেন বেশি সুবিধা না পান, সেজন্য পরীক্ষাপদ্ধতিতে ওই পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি করার আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি বলেছে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছেন।ফলে এখন থেকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সবার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির বিষয়টি দেখার উচিত।
মৌখিক পরীক্ষায়ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’
প্রথম আলোর এই খবরে বলা হয়েছে, ২০০ নম্বরের বর্তমানের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের ঢালাওভাবে নম্বর দেওয়ার যে বিধান রয়েছে তাতে পরিবর্তনটা আনা হচ্ছে।
৪১তম বিসিএস থেকেই মৌখিক পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি কার্যকর হবে। চাকরিপ্রার্থীর জন্য বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর ভাগ করে দেওয়া থাকবে। সঠিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার হার কত, পোশাক–পরিচ্ছদে কেমন, মানসিক দক্ষতা কেমন, আত্মবিশ্বাস কতটা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা কতটা, এসব বিষয়ে আলাদা আলাদা নম্বরের ঘর রাখা হবে। এতে করে প্রত্যেক পরীক্ষক আলাদা করে প্রার্থীকে নম্বর দিতে পারবেন। শেষে সবার নম্বর যোগ করা হবে। তারপর মৌখিক পরীক্ষার নম্বর নির্ধারিত হবে।