বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা কমছে কেন?

বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা কমছে কেন?
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন

গত ৬ বছরে প্রতিবারই বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা আগের বারের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটেছে এ বছর। ৪৫তম বিসিএসে আবেদনের সংখ্যা কমেছে।

৪৫তম সাধারণ বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার, যা এর আগের সাধারণ বিসিএসের চেয়ে ৩২ হাজার ৭১৬টি কম আবেদন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) সূত্রে এ তথ্য গেছে।

গত ছয় বছরে ছয়টি সাধারণ বিসিএসের (৩৯তম ও ৪২তম বিশেষ বিসিএস ছাড়া) আবেদনের হিসাবে দেখা যায়,
৩৮তম বিসিএসে আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন। ৪০তম বিসিএসে তা বেড়ে ৪ লাখ ১২ হাজার হয়েছিল। ৪১তম বিসিএসে তা আরও বেড়ে যায়, সেবার ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থীর আবেদনের রেকর্ড হয়। এর পরের বারের তথা ৪৩তম সাধারণ বিসিএসে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন আবেদন করেন। ৪৪তম বিসিএসে তা বাড়ে, আবেদন পড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জনের।

কিন্তু বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা কমছে কেন?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মতিউর রহমান বাংলা অপিনিয়নকে বলেন, বিসিএসের পরীক্ষা দিন দিন কঠিন হচ্ছে। এখন প্রথমে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এতে অনেকে বাদ পড়েন। তারপর লিখিত ও ভাইবা হয়। আগে দেখা যেত অনেকেই পড়াশোনা না করেও আবেদন করতেন। আমার জানামতে এখন যারা পড়াশোনা করেন তারাই আবেদন করছেন। এ কারণে এবার আবেদনের সংখ্যা হয়তো কমেছে।

তবে কি বিসিএসের প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহ কমে গেছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, আমার তা মনে হচ্ছে না।’

এবার আবেদনের সংখ্যা কমার বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বিপিএসসির একজন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, এবার আবেদন কম পড়ার অন্যতম কারণ হলো- এবার বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এর আগে প্রতিবারই আবেদনের সময় বাড়ানো হতো। প্রতিবারই আবেদনের সময় প্রায় এক মাসের বেশি দেওয়া হতো। কিন্তু এবার এবার মাত্র ২০ দিন ছিলো আবেদনের সময়। এজন্যও আবেদনের সংখ্যা কমতে পারে।

তারা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। আবেদনের সময় বাড়ানো হলে ফাইনাল পরীক্ষা শেষে তাঁরাও আবেদন করতে পারতেন। ফলে আবেদনের সংখ্যা বাড়তো।

Leave a Reply