প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর মাধ্যমিকের শিক্ষকদেরও ফেসবুক ব্যবহারে সতর্কতা জারি

govt
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর মাধ্যমিকের শিক্ষকদেরও ফেসবুক ব্যবহারে সতর্কতা জারি

ফেসবুকসহ বাকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গত সেপ্টেম্বরে সতর্ক করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব মাধ্যমে কী করা যাবে না, তেমন আটটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত আগস্টে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এসব মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এবার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও ফেসবুক ব্যবহারে সতর্কতা জারি করেছে মাউশি।

গত ২৩ অক্টোবর মাউশি ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার–সংক্রান্ত নির্দেশিকার’ তথ্য উল্লেখ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

এতে বলা হয়, ‘মাউশির অধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী আইন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের চাকরির শর্ত বিধিমালা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকার পরিপন্থী।’

এতে আরও বলা হয়, ‘এ নির্দেশনা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা। কোনো শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি অন্যের কনটেন্ট কিংবা পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কনটেন্ট বা পোস্ট দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাউশিতে আবেদন করুন।’

 

Leave a Reply