একটি জীবন এক কিলোমিটার পিষতে পিষতে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা!

একটি জীবন এক কিলোমিটার পিষতে পিষতে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা!
একটি জীবন এক কিলোমিটার পিষতে পিষতে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা!

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ২ ডিসেম্বর ঘটে গেলো একটি মর্মান্তিক ঘটনা। খবরের কাগজ, অনলাইন পত্রিকার নিউজ আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখলে গাঁ শিউরে উঠে।

একটি প্রাইভেটকারের নিচে পড়ে গেলেন এক নারী। তিনি সেখান থেকে উঠতে পারেননি। আটকে গেলেন। কারণ, গাড়িটি তখনও চলছিল। আর তাকে এই অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকা থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পথ টেনে নেয় গাড়িটি।

কিন্তু এই নিষ্ঠুরতা কেন? গাড়ির চালক কি মাতাল ছিলেন? অশিক্ষিত? না। তিনি দেশের সবচেয়ে বড়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র সাবেক শিক্ষক (২০১৮ সালে যাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল)।

তাহল কি ওই শিক্ষক মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন? না। সে বিষয়েও গণমাধ্যমে কিছু বলা হয়নি।

তবে লোকজন যেটা বলছেন, তা হলো- মূলত নিজেকে বাঁচানোর জন্যই ওই শিক্ষক নারীটিকে ওভাবে পিষে মেরেছেন। শিক্ষক ভেবেছেন, দুর্ঘটনা যখন ঘটে গেছে, তখন গাড়ি থেকে নামলে আমার আর রক্ষা নেই। নামলেই মানুষ আমাকে ধরবে। জরিমানা করবে। হয়তো অবস্থা খারাপ হলে পিটুনিও দেবে।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি পিটুনি খেয়েছেন। একেবারে গণপিটুনি।

তিনি যদি বাস-ট্রাকের অশিক্ষিত চালকদের মতো এভাবে আচরণ না করতেন, তাহলে নারীটি বেঁচে যেতেন। তিনি এভাবে গণপিটুনি খেতেন না।

তাই পরিশেষে বলি, চালকদের কাউন্সেলিং করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

Leave a Reply